Stumble ThisFav This With TechnoratiAdd To Del.icio.usDigg ThisAdd To RedditAdd To FacebookAdd To Yahoo

নিজের একটি ওয়েবসাইট থাকুক, কে না চায়?
তাই দেরি না করে চলুন এখনি একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলি নিজের জন্য।

কী কী করতে হবে?
“”"”"”"”"”"”"”"”"”

১. একটি ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
২. হোস্টিং স্পেস রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
৩. সেটাপ করতে হবে।

ব্যাস, হয়ে গেলো আপনার ওয়েবসাইট।

এবার আসুন সংক্ষিপ্ত বর্ণনায় যাই :

১. ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন
””””””””””””””””””””

প্রথমেই একটি ডোমেইন চয়েজ করতে হবে। কী নামে আপনি আপনার ওয়েবসাইট করতে চান, সেটি।
এটা হতে পারে আপনার নিজের নামে, কিংবা আপনার প্রতিষ্ঠানের নামে অথবা আপনার কোনো প্রিয় মানুষের নামে।
তবে ডোমেইন চয়েজ করার সময় যে দিকটা মনে রাখবেন সবচে’ বেশি সেটা হলো, এমন কোনো নাম পছন্দ করুন যেটা সবার খুব সহজেই মনে থাকে, এবং মুখে বললেই অন্যজন বুঝতে পারে।

ডোমেইন নাম বাছাই করার পর, আপনাকে এখন দেখতে হবে, সেই ডোমেইনটি খালি আছে কিনা।

তাহলে আর দেরি নয়। ডোমেইন নেম নির্বাচন এবং রেস্ট্রিশন করতে চলে যান কো.সিসিতে।

এখানে ক্লিক করুন
1 - Sign Up

প্রথমেই এখানে একটা একাউন্ট খুলে ফেলুন। একাউন্ট খুলতে কোনো ফি দিতে হয় না। সম্পূর্ণই ফ্রি।
একাউন্ট খোলার পর লগ-ইন করার পর যে পৃষ্ঠাটি সেখান থেকে Getting A New Domain বাটনে ক্লিক করুন।

2 - Getting New Domain

খালি বক্সে আপনার চয়েজবল নামটি দিয়ে চেক এভেইলেবিটি বাটনে ক্লিক করুন।

3 - Domain Select

ধরি আপনার পছন্দের নামটি হচ্ছে mywebsiteblog ।

এই সাইটির নাম খালি আছে তাই এটি রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। এতে কোনো ফি লাগবে না।

4 - domain available

Continue to registration বাটনে ক্লিক করুন।

এবার একটি বার্তা দেখতে পাবেন_ Your new domain has been successfully registered.

ব্যাস, ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলো। আপাতত এখানের কাজ শেষ। এই উইন্ডোটি বন্ধ করবেন না। এটি এভাবেই রেখেদিন।

২. হোস্টিং রেজিস্ট্রেশন
””””””””””””””””””’

ডোমেইন তো ফ্রিতে পাওয়া গেলো। এবার প্রয়োজন হোস্টিং স্পেস। হোস্টিং হলো যেখানে আমার ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো থাকে। কম্পিউটারে যেমন হার্ডডিস্ক, তেমনি অনলাইনের হার্ডডিস্ক হলো হোস্ট স্পেস।

হোস্ট স্পেস ফ্রি পাওয়া এরকম অনেক আছে। তবে আমার কাছে সবচেয়ে সহজ মনে হয়েছে ফ্রিহোস্টিয়া।
তাদের সিপ্যানেল খুবই সহজ সরল। লগ-ইন করলে আপনার কাছে সহ ক্লিয়ার হয়ে যাবে।

কথা আর না বাড়িয়ে চলুন, ফ্রি হোস্টিয়াতে যাই।

———————————— ফ্রিহোস্টিয়া ——————————-
ফ্রিহোস্টিয়ার চকোলেট প্যাকেজটি ফ্রি। অন্যদুটির জন্য আপনাকে পয়সা দিতে হেব। সুতরাং চকোলেট-ই এখন আমাদের টার্গেট।

চলুন চকোলেট রেজিস্ট্রেশনের ধাপগুলো দেখি।

Host 1

১. Take a Bite বাটনে ক্লিক করুন।

২. এবার যে পেজটি আসবে, এটি সাইনআপ ফরম। একটু কেয়ার নিয়ে পূরণ করতে হবে।

Host 2

এখানে আপনার ডোমেইন নেমটি লিখতে হবে। দেখুন লাল চিহ্নিত স্থানগুলো।

৩. ফরম পূরণ শেষ হলে নিচে একটি ওয়ার্ড ভেরিফিকেশন ইমেজ আছে। ইমেজের ঘরে থাকা নম্বর ও অক্ষরগুলো লিখে Continue বাটনে ক্লিক করুন।

Host 3

৪. লগিন কন্ট্রোল প্যানেল বাটনে দেখতে পাবেন। কিন্তু লগিন করার কোনো দরকার নেই। উইন্ডো ক্লোজ করে দিন।

৫. আপনার ইমেইল ওপেন করুন। ফ্রিহোস্টিয়া থেকে একটি মেইল চলে এসেছে আপনার ইনবক্সে। এই ইমেইলে আছে, আপনার ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড, এফটিপি লগিন বিস্তারিত, ডিএনএস ইত্যাদি। বিস্তারিত না বুঝলে সমস্যা নেই।
৬. আপনি আবারও ফ্রিহোস্টিয়া তে চলে যান। ইমেইলে পাওয়া ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করুন।

৭. লগিন হতে থাক, এই ফাঁকে ডোমেইন কো.সিসি-তে চলুন, যেখানে রেখে গিয়েছিলাম- সেখানে।

৮. সেটাপ বাটনে ক্লিক করুন।

Host 4

৯. Manage Domain এর সেটাপ অপশনে ক্লিক করুন।

Host 5

১০. এক নাম্বারে আছে দেখুন Name Server । Name Server-এর রেডিও বাটনে ক্লিক করলে দুটি বক্স আসবে। সেখানে আপনি ইমেইলে পেয়েছিলেন দুটি ডিএনএস ঠিকানা।
dns1.freehostia.com
dns2.freehostia.com

এই ডিএনএস ঠিকানা দুটি ছবির মতো করে লিখে দিয়ে সেটআপ বাটনে ক্লিক করুন

Host 6

১১. তারপর যে পেজটি আসবে, সেখানে ওকে করে দিন। ব্যাস এখানে আর কোনো কাজ নেই আপনার। এখান থেকে লগ-আউট হয়ে বের হয়ে আসতে পারেন।
এবার চলুন, ফ্রিহোস্টিয়াতে যাই।

১২. ফ্রিহোস্টিয়াতে লগিন করার সাথে সাথে আমার হোস্ট কন্ট্রোল প্যানেলে চলে আসবো আমি। এখানের Site Manager ড্রপডাউন বাটন থেকে Hosted Domains-এ ক্লিক করুন।

Host 7

১৩. নিচের ছবির মতো করে এখানে আপনার ডোমেইন নামটি লিখে দিন। তারপর Add Domain বাটনে ক্লিক করুন।

Host 8

১৪. মূলত আপনার কাজ শতকরা ৯০ ভাগ শেষ হয়ে গেছে। বাকী দশ ভাগ কাজ হচ্ছে, আপনার সাইটে আপনি এখন কী রাখবেন, তা ঠিক করা।

১৫. আমি আগে জুমলা ব্যবহার করতাম। বর্তমানে আমি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে কাজ করি। ওয়ার্ডপ্রেস খুব ভালো লাগে, এটা সহজ এবং কনটেন্ট ব্যবহার করা যায় অতি সহজে।

ফ্রিহোস্টিয়া দিয়ে জুমলা, দ্রুপল কিংবা ওয়ার্ডপ্রেস খুব সহজেই ইনস্টল করে কাজ করা যায়।

ফ্রিহোস্টিয়ার কন্ট্রোল প্যানেলের ওয়েব টুলস ব্যবহার করে মাত্র এক ক্লিকে এসব সিএমস ইনস্টল করা যায়। এজন্য আপনাকে কোনো প্রোগ্রামিং ভাষা জানতে হবে না।

যেকোনো সমস্যায় আমাকে মেইল (bishoshk(এট)yahoo.com) করতে পারেন।
এই টিউটোরিয়ালটি বুঝতে সমস্যা হলে, দয়া করে জানাবেন। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করবো আপনাকে হেল্প করতে। আমি চেষ্টা করেছি আরও সংক্ষিপ্তাকারে লেখার। কিন্তু পারিনি। আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে।
আমার ভুল-ভ্রান্তি হওয়া স্বাভাবিক। যদি এখানে কোনো ভুল হয়ে থাকে দয়া করে জানিয়ে কৃতার্থ করবেন।
————————————————
লেখাটি পূর্বে অন্য দু’টি প্রকাশ করা হয়েছিলো। এছাড়াও এই লেখাটি আমার ব্যক্তিগত ব্লগেও আছে। কেউ দয়া করে লেখাটি কপি পেস্ট করবেন না।

কেউ যদি এই লেখাটি তার নিজের ব্লগ/ওয়েবসাইটে রাখতে চান, রাখতে পারেন, সেক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিগত ব্লগ টিনটব (http://tintob.wordpress.com)-এ যেয়ে আমাকে জানিয়ে তারপর রাখতে পারবেন।

Stumble ThisFav This With TechnoratiAdd To Del.icio.usDigg ThisAdd To RedditAdd To FacebookAdd To Yahoo

আজকাল প্রায় সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর একটি ব্লগ অথবা ওয়েব সাইট থাকে। বন্ধুদের সাথে গল্প করার জন্য ফেইসবুক বাদ দিয়ে এখন আপনার ব্লগেই যুক্ত করতে পারেন একটি চ্যাটরুম। আর বেশি ভিজিটর পেলে পিপিসি এডভারটাইজিং ব্যবহার করে টাকাও উপার্জন করতে পারেন। সবচেয়ে সহজ প্রক্রিয়ায় সাধারন মানের চ্যাটরুম তৈরির কৌশল নিয়ে লিখব। এরপর আপনারা নিজে নিজেই আরও ভাল মানের চ্যাটরুম তৈরি করতে পারবেন আশা করি।

2010 03 09 001336 ব্লগস্পট অথবা ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে চ্যাটরুম যুক্ত করুন সহজেই | Techtunes

  • প্রথমে www.99chats.com ওয়েব সাইটে গিয়ে Sign Up Now তে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন করুন।
  • 2010 03 09 001526 ব্লগস্পট অথবা ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে চ্যাটরুম যুক্ত করুন সহজেই | Techtunes

  • পরবর্তী পেইজে আপনার ই-মেইল এড্রেস এবং পাসওয়ার্ড(ই-মেইল পাসওয়ার্ড নয়) দিয়ে Sign up বাটনে ক্লিক করুন।
  • এরপর নিচের চিত্রের মত দেখা যাবে এবং এখানে প্রয়োজনীয় সব কিছু পুরন করতে হবে।এখান থেকে আপনি চ্যাটরুম এর আকৃতি, রঙ ইত্যাদি নির্ধারন করতে পারবেন।
  • 2010 03 09 001912 ব্লগস্পট অথবা ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে চ্যাটরুম যুক্ত করুন সহজেই | Techtunes

  • এরপর Continue বাটনে ক্লিক করলে নিচের মত একটি পেইজ দেখা যাবে যেখানে চ্যাটরুম এর জন্য কোড দেয়া থাকবে। সেখান থেকে Javascript Embed কোডটি কপি করে নিন।
  • 2010 03 09 004734 ব্লগস্পট অথবা ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে চ্যাটরুম যুক্ত করুন সহজেই | Techtunes

চ্যাটরুম এর জন্য প্রয়োজনীয় কোড পাওয়া গেছে এবং এবার এটি ব্লগে যুক্ত করার পালা।

ব্লগস্পটের জন্যঃ

আপনার ব্লগার একাউন্ট এ লগিন করে New post এ ক্লিক করুন। এবার পোস্ট এডিটরের Edit HTML এ গিয়ে Javascript কোডটি পেস্ট করুন। এবার পাবলিশ পোস্ট এ ক্লিক করে আপনার ব্লগে ঢুকলেই চ্যাটরুম দেখতে পাবেন। সেখানে আপনার নিক নেইম দিয়ে Join এ ক্লিক করলেই চ্যাটরুমে প্রবেশ করতে পারবেন।

ওয়ার্ডপ্রেসের জন্যঃ

ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাশবোর্ড এ প্রবেশ করে Add New Page এ ক্লিক করুন।পেইজটির পছন্দমত একটি নাম দিন যেমনঃ www.myblog.com/chat । এবার HTML ভিউতে গিয়ে Javascript কোডটি পেস্ট করে পাবলিশ বাটনে ক্লিক করুন। এরপর ব্রাউজারে পেইজ এর এড্রেস লিখলেই আপনার চ্যাটরুম পেয়ে যাবেন।

Stumble ThisFav This With TechnoratiAdd To Del.icio.usDigg ThisAdd To RedditAdd To FacebookAdd To Yahoo

আজকাল ফেসবুকের পপুলারিটি যেমন বেরেছে তেমন বেরেছে টুইটারের । তাই আমরা অনেকেই টুইটার ব্যবহার করি মাইক্র ব্লগিং এর জন্য । আবার আমরাদের যাদের ব্লগ আছে তারা প্রায় সবাই টুইটারে ব্লগের পোষ্টের আপডেট দেই । আমি একটা প্লাগিন ব্যবহার করতাম যেটা অটো টুইটারে পোষ্ট করতো যখন আমি নতুন পোষ্ট করতাম । কিন্তু সমস্যাতে পরলাম যখন বাংলা ব্লগ ব্যবহার করা শুরু করলাম । আমি SEO Friendly করার জন্য আমার ওয়ার্ডপ্রেসের পার্মালিংকে পোষ্ট টাইটেল ব্যবহার করি । তাই আমার পোষ্টের লিংক অনেক বড় হয় । কিন্তু টুইটারে মাত্র ১৪০ অক্ষর লিখা যায়। আবার আমার ঐ প্লাগিন এ নিজে কোডের ভিতরে টুইটারের আইডি ও পাসওয়ার্ড দিতে হয় । তাই এই সব সমস্যা মাথাই রেখে নিজেই শুরু করে দিলাম প্লাগিন বানানোর কাজ । কাল থেকে শুরু করে আজ সম্পূর্ণ করলাম “টুইটারে অটো পোষ্ট : ওয়ার্ডপ্রেস বাংলা প্লাগিন

এই প্লাগিন টি ব্যবহার করলে আপনি যখন পোষ্ট করবেন তখন আপনার পোষ্টের টাইটেল সহ পোষ্টের লিংক আমার লিংক ছোট করার সাইটের সাহায্যে ছোট করে টুইটারে অটো পোষ্ট করবে । এতে আপনাকে কষ্ট করে নিজে টুইটারে পোষ্ট করতে হবে না ।

  • প্লাগিনটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে এটি ডাউনলোড করুন । ডাউনলোড করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
  • এরপর ফাইলটিকে আনজিপ করে আপনার ওয়ার্ডপ্রেসের প্লাগিন ফোল্ডারে আপলোড করুন এবং এডমিন প্যানেল থেকে ইনস্টল করুন ।
  • এবার এডমিন প্যানেলের সেটিংস থেকে টুইটারের তথ্য মেনু থেকে আপনার টুইটারের আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সেভ করুন ।
  • এরপর থেকে আপনি পোষ্ট করলে আপনার পোষ্টটির লিংক ছোট করে পোষ্টের টাইটেলসহ টুইটারে পোষ্ট করা হবে ।
আশা করি এই প্লাগিনটি আপনাদের কাজে লাগবে ।

Stumble ThisFav This With TechnoratiAdd To Del.icio.usDigg ThisAdd To RedditAdd To FacebookAdd To Yahoo

ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে বাংলা ভাষার ওয়েবসাইট বানানোর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করার পর ব্যাপক সারা পাওয়ায় আরও একটু এগিয়ে এলাম। আজ আমরা বাংলায় পোস্ট ও কমেন্ট লেখার ব্যবস্থা করবো। তার আগে শিখে নেই আগের পর্বের টিউটরিয়াল গুলো

  • ১. প্রথমে ওয়ার্ডপ্রেসের বাংলাকেবি প্লাগইনটি ডাউনলোড করে নিতে হবে।
  • ২. ওয়েবসাইটের এডমিন প্যানেলে গিয়ে ইনস্টল করে নিন। তার পর প্লাগইনটি একটিভেট করুন।
  • ৩. এর পর দেখবেন আপনার ব্লগের HTML ইডিটরে Unijoy, Phonetic,Provat,English আসবে। লিখতে পারবেন বাংলায়।
  • ৪. এবার বাংলায় কমেন্ট দেয়ার জন্য আরনাকে কোডে হাত দিতে হবে। থিমের comments.php ফাইলটি সম্পাদনা করতে হবে।

comments.php এর যেখানে


http://techtunes.com.bd/web-design/tune-id/20008/

Stumble ThisFav This With TechnoratiAdd To Del.icio.usDigg ThisAdd To RedditAdd To FacebookAdd To Yahoo

আমরা এই পর্বের লেখায় জেনেছি যে ওয়ার্ডপ্রেসের ব্লগে কিভাবে থিম (Theme) পরিবর্তন করা যায়? আজ আমরা জানবো এই থিমকে আরো কিভাবে কাস্টমাইজ (Customize) করা যায় আমরা পূর্বের পোস্টে (Previous Post) জেনেছি যে প্রত্যেকটা থিমের নিজস্ব কিছু অপশন (Option) আছে থিম অনুযায়ী অপশনগুলো সাধারণত আলাদা আলাদা হয় তবে সবক্ষেত্রেই একটি সাধারণ মিল (Common) থাকবে অন্তত: দুটো অপশন প্রত্যেকটা থিমের সাথে থাকবেই আর তা হলো Widgets এবং Extras; এছাড়াও Edit CSS অপশনটিও প্রত্যেকটা থিমের সাথে থাকে Custom Header Image অপশনটি সেইসব থিমকে একটিভেট করলে থাকে যেগুলোতে হেডার হিসেবে কোন ইমেজ ফাইল বা ছবি ফাইলকে ব্যবহারের সুযোগ আছে আজ আমরা এই সাধারণ বা প্রত্যেকটা থিমে কমন অপশনগুলোর ব্যবহার জানবো

Design বাটনে ক্লিক করার পর বিভিন্নরকম থিম থেকে একটি সিলেক্ট করার পর, আপনার যা করণীয় তা হল আপনার ব্লগের সাইডবারকে বা সাইডবারগুলোকে সঠিকভাবে সাজানো এজন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হল এই Widgets বাটনে ক্লিক করে কাজ করা এই উইজেট বাটনে ক্লিক করলে নতুন একটি পেজ আসবে তার চেহারা হবে নিম্নরূপ এই পেজ থেকে আপনি আপনার ব্লগের সাইডবারগুলোকে নিজের মনমতো সাজাতে পারবেন সাধারণত ব্লগের সাইডবারে বিভিন্ন উইজেটের মাধ্যমে ব্লগের নতুন পোস্ট, পুরাতন পোস্ট, প্রয়োজনীয় তথ্য, অন্য ব্লগের লিংক, বিভিন্নরকমের ছবি ইত্যাদি ব্লগভিজিটরদের সাথে শেয়ার করা হয় এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগকে আরও আকর্ষণীয় করে, প্রয়োজনীয় করে অন্যের কাছে উপস্থাপন করা সম্ভব নিচের ছবিতে দেখুন, এখানে প্রধান বাটন হল Available Widgets এবং Current Widgets, এই দুটো বাটন দিয়েই আপনি আপনার ব্লগে বিভিন্ন রকমের উইজেট স্থাপন করতে পারবেন


(*) Available Widgets: ওয়ার্ডপ্রেস আপনাকে যেসব উইজেট ডিফল্ট (Default) হিসেবে ফ্রি (Free) ব্যবহার করতে দেয়, তার একটি তালিকা এখানে থাকে। যেসব উইজেট আপনি ফ্রি হিসেবে পাবেন, তার তালিকা নিম্নরূপ:

# del.icio.us: এই উইজেটের মাধ্যমে আপনি del.icioতে যা কিছু বুকমার্ক করে রেখেছেন, তা অন্যদেরকে জানাতে পারবেন। তবে তার আগে এই Delicious সাইটে গিয়ে আপনাকে লগইন (Login) করে একটি একাউন্ট (Account) তৈরি করতে হবে।
# পৃষ্ঠা: আপনি ব্লগটিতে যতগুলো পেজ (Page) বা পাতা তৈরি করেছেন, তার একটি সূচীপত্র (Index) এই উইজেটের মাধ্যমে অন্যদেরকে জানাতে পারবেন। মনে রাখবেন, এই উইজেটটি যদি ব্লগের সাইডবারে (Sidebar) প্রদর্শন না করেন, তাহলে আপনার বিষয়ভিত্তিক পাতাগুলো ব্লগভিজিটররা (Blog Visitor) দেখতে পারবেন না।
# Calendar: আপনি ব্লগে মাসের কবে কবে (When) বা কত তারিখে পোস্ট লিখেছেন, তা এই উইজেটের মাধ্যমে জানা যাবে। আপনি যত তারিখে নতুন পোস্ট (New post) লিখেছেন, ঠিক সেই তারিখের মধ্যে একটি লিংক হয়ে যাবে। সেই লিংকে ক্লিক করে আপনার ঠিক তত তারিখের পোস্টে যাওয়া যাবে।
# আর্কাইভ: আপনার ব্লগে শুরু থেকে যত পোস্ট লিখেছেন, তার একটি তালিকা এই আর্কাইভ উইজেটের মাধ্যমে অন্যদেরকে জানানো যাবে। আপনি কিভাবে আর্কাইভটি (Archive) অন্যদের সাথে শেয়ার করতে চান, ড্রপডাউন মেনু হিসেবে, নাকি সাধারণভাবে, আর্কাইভে পোস্ট সংখ্যা (Post count) থাকবে কি থাকবে না তার অপশনও এখানে রয়েছে।
# Links: আপনি যদি আপনার বন্ধুদের ব্লগ বা কোন প্রিয় ব্লগের লিংক (Link) ব্লগ ভিজিটরদেরকে জানাতে চান, তা করতে পারবেন এই উইজেট দিয়ে (Blogroll)।
# Meta: এই উইজেটটি হল আপনার ব্লগে এডমিনিস্ট্রেটর (Administrator) হিসেবে লগইন করবার প্রবেশদ্বার। আপনি নিজে যদি http://bn.wordpress.com থেকে লগইন করতে না চান, তাহলে সরাসরি ব্লগ থেকেই তা করতে পারেন। আর তা সম্ভব এই Meta উইজেটটির মাধ্যমে। এই উইজেটটি ব্যবহার করলে সরাসরি ব্লগ থেকেই আপনি লগইন নাম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ব্লগের ড্যাশবোর্ডে (Dashboard) প্রবেশ করতে পারবেন।
# খোঁজ করুন: আপনার নিজস্ব ব্লগের নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন (Search Engine) স্থাপন করুন এই উইজেট ব্যবহার করে।
# Recent Posts: সম্প্রতি আপনি কি কি পোস্ট লিখেছেন, তা এই উইজেটের মাধ্যমে জানানো যাবে। সর্বোচ্চ শেষ ১৫টি পোস্টের খবর আপনি অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন এই উইজেটের মাধ্যমে।
#Tag Cloud : এটা আসলে আপনার ব্লগে ব্যবহৃত ট্যাগের (Used Tag) তালিকা। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, আপনি যেসব ট্যাগ বেশি বেশি ব্যবহার করেন সেইসব ট্যাগের নাম মোটা দাগে দেখাবে এই ট্যাগ ক্লাউড উইজেট।
# বিভাগ: আপনার ব্লগে যেসব বিভাগ ব্যবহার করেছেন, তার তালিকা (List) যদি ব্লগ ভিজিটরদেরকে জানাতে চান, তাহলে এই উইজেটটি ব্যবহার করুন। আপনি বিভিন্নভাবে এই বিভাগগুলো দর্শকদেরকে দেখাতে পারেন। ড্রপডাউন (Drop Down), বা হায়ারারকি (hierarchy) যেভাবে খুশি, আপনি ইচ্ছা করলে ওই বিভাগগুলোর অন্তর্গত কতটি পোস্ট রয়েছে, তাও দর্শকদেরকে (Visitor) জানাতে পারবেন।
# Text: এই টেক্সট উইজেটটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ থার্ডপার্টির (3rd party) কাছ থেকে পাওয়া যেসব উইজেট ওয়ার্ডপ্রেসে ডিফল্ট (Default) হিসেবে দেয়া নাই, তাদের কোড (Code) এই টেক্সট উইজেটেই স্থাপন করতে হবে।
# RSS: আপনি কি কোন ওয়েবসাইটের নতুন কনটেন্ট (Content) এর খবর নিয়মিত জানতে চান? তাহলে এই আর এস এস উইজেটটি ব্যবহার করুন। বাংলা ভাষায় ব্লগগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় আর এস এস হল বিডিনিউজ ২৪ (Bdnews24) এর। বিভিন্ন ফোরাম (Forum), যেগুলোতে নিয়মিত নতুন পোস্ট দেয়া হয়ে থাকে, সেগুলোর আর এস এস এই উইজেটের মাধ্যমে আপনার ব্লগে দেখাতে পারবেন। যেমন বাংলা ব্লগ টিপ্‌স ব্লগের (Bangla Blog Tips) আর এস এস হল http://feeds.feedburner.com/bbtips
আপনি কতগুলো নতুন পোস্ট দেখাতে চান, তা এই উইজেটে সিলেক্ট করে দিতে পারবেন।
# Recent Comments: সম্পৃতি আপনার ব্লগে ভিজিটররা যা মন্তব্য (Comment) করেছে তা একসাথে এই উইজেটের মাধ্যমে প্রদর্শন (Show) করতে পারবেন। কতগুলো মন্তব্য প্রদর্শন করতে চান, কিংবা মন্তব্যকারীর ছবি কতবড় দেখাতে চান, তা এই উইজেটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট করে দিতে পারবেন।
# Meebo: মিবো হল ওয়েবভিত্তিক মেসেজ আদান প্রদান করার একটি সার্ভিস (Chating Service)। যদি আপনার মিবোতে কোন একাউন্ট থাকে, তাহলে বন্ধুদের সাথে এই উইজেটের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে কথাবার্তা চালাতে পারবেন (Chat)।
# Vodpod Videos: Vodpod থেকে যে কোন রকমের ভিডিও (Video) এই উইজেটের মাধ্যমে ব্লগ ভিজিটরদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।
# Box.net file sharing: বক্স.নেট এ একটি একাউন্ট (Account) খুলে সেখানে আপনার আপলোড করা বিভিন্নরকমের ফাইল দর্শকদের সাথে শেয়ার (File Share) করতে পারবেন। এজন্য বক্স.নেট এর মধ্যে আপনার একটি একাউন্ট থাকতে হবে, তারপর সেখান থেকে HTML কোড কপি (Copy) করে নিয়ে এই উইজেটের মধ্যে স্থাপন করতে হবে। তাহলে Box.net এ আপনার একাউন্টে থাকা আপনার ফাইলগুলোর লিংক এখানে দেখা যাবে।
# Category Cloud: আপনার ব্লগে ব্যবহৃত ক্যাটাগরির মধ্যে যেসব ক্যাটাগরি (Category) বেশি ব্যবহৃত হয়েছে, তা এই ক্যাটাগরি ক্লাউডের মাধ্যমে দর্শকদেরকে জানাতে পারবেন।
# Akismet: অনেক সময় ব্লগে স্প্যামের (Spam) আক্রমণ দেখা যায়। স্প্যামাররা (Spammer) আজেবাজে লিংক দিয়ে আপনার ব্লগের মন্তব্যঘর (Comment Box) পূরণ করে দেবে। ফলে দর্শকদের কাছে আপনার ব্লগ সম্পর্কে খারাপ ধারণা সৃষ্টি হবে। এই দুঃখজনক ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে এই Akismet উইজেটটি ব্যবহার করুন। এই উইজেটটি আপনার ব্লগকে স্প্যামারদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে।
# ব্লগ পরিসংখ্যান: আপনার ব্লগটি এ পর্যন্ত কতবার ভিজিট করা হয়েছে তা জানা যাবে এই উইজেটটির মাধ্যমে (Blog Counter)
#Top Clicks: আপনার ব্লগের কোন পোস্টটি সবচেয়ে বেশিবার দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পেরেছে, তথা কোন পোস্টটিতে দর্শকরা বেশিবার ক্লিক (Click) করেছেন, তা জানা যাবে এই উইজেটের মাধ্যমে। উইজেটটি ব্যবহার করুন, আর জেনে নিন আপনার কোন লেখাটি পাঠকনন্দিত (Famous) হয়েছে।
# Top Posts: কোন পোস্টটি দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে, তা জানা যাবে এই উইজেটের মাধ্যমে।
# Flickr: আপনার কি ফ্লিকার এ কোন একাউন্ট আছে? আপনি কি ফ্লিকার এর মাধ্যমে আপনার প্রিয় ছবিগুলো অন্যদের সাথে শেয়ার করতে চান, তাহলে এই উইজেটটি ব্যবহার করুন। ফ্লিকার এ আপনার নিজস্ব একাউন্টের অনলাইন ঠিকানা (URL) টি কিংবা ফ্লিকার এ আপনার একাউন্টের আর এস এস ঠিকানা (RSS Adress) এই উইজেটের মধ্যে স্থাপন করুন। নিজে থেকেই সেখানে থাকা ছবিগুলো প্রদর্শিত হবে।
# Platial MapKit: আপনি কি আপনার ব্লগ পাঠকদের অবস্থান জানতে চান? তাহলে এই উইজেটটি ব্যবহার করুন। এর মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট এলাকার পাঠকদের সম্পর্কে আপনি তথ্য জানতে পারবেন।
# Authors: ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ একাধিক লেখক সমর্থন করে। ইচ্ছে করলে ১০০ জনেরও বেশি লেখক আপনার ব্লগে থাকতে পারে। ধরা যাক আপনার ব্লগটি একটি সামাজিক ব্লগ (Social Blog)। এখানে অনেকে লিখে থাকেন। কিভাবে নতুন লেখক যোগ করতে হয় (Add Author), তা আমরা জানবো পরবর্তিতে। এই সবগুলো লেখকদের তথ্য বা কারা কারা আপনার ব্লগের লেখক তা জানাতে প্রকাশ করতে পারবেন এই উইজেটটি ব্যবহার করে।

Stumble ThisFav This With TechnoratiAdd To Del.icio.usDigg ThisAdd To RedditAdd To FacebookAdd To Yahoo

ওয়ার্ডপ্রেস.কম এর দেয়া ব্লগ সুবিধার অন্যতম হল এর থিম্‌স (Themes) বা টেমপ্লেট (Template)। এখানে আপনাকে ফ্রি ব্লগিং (Free Blogging) করার পাশাপাশি ৭০টিরও অধিক অসাধারণ, অনিন্দ্যসুন্দর ও আকর্ষণীয় থিম সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে দেয়। ডিফল্ট থিম (Default Theme) হিসেবে Michael Heilemann এর তৈরি করা Kubrick থিমটি ব্লগের জন্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আপনি ইচ্ছে করলে ৭০টিরও অধিক থিম থেকে আপনার মনমতো পছন্দ করে যে কোন থিম বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারেন।

ব্লগে লগইন (Login) করার পর খেরোখাতায় (Dashboard) প্রবেশ করলে দেখতে পারবেন Design নামে একটি বাটন আছে। এই বাটনের আওতায় নিম্নোক্ত কিছু বাটন আছে। Design বাটনে ক্লিক করলে ডিফল্ট হিসেবে থিম অংশে আপনি চলে আসবেন। সেখানে নিচের ছবির মতো অংশে ফ্রি ব্যবহার করতে দেয়া থিমগুলোর প্রিভিউ (Preview) ও প্রধান কিছু ফিচার (Feature) লিখিত অবস্থায় পাবেন।

প্রদত্ত থিমগুলোর ডানপাশে রয়েছে নিচের ছবির মতো একটি অংশ।
এখানে সামনে লেখাটির উপরে বা নাম্বারগুলোর উপরে ক্লিক করে সম্পূর্ণ থিমের তালিকা (Full List) দেখতে পারবেন। এর মধ্যে যে কোন একটি থিম পছন্দ হলে থিমের প্রিভিউ (Preview) হিসেবে দেয়া ছবির উপরে ক্লিক (Click) করুন। আপনার বর্তমান ব্লগটি (Current Blog) নতুন থিম ব্যবহার করলে কিরকম দেখাবে তার একটি প্রাথমিক চিত্র (Preview Image) আপনি দেখতে পাবেন।

এই প্রিভিউ এর ডানপাশের কোণায় লেখা Activate ...(থিমের নাম) লেখা জায়গায় ক্লিক করলে আপনার নতুন থিমটি ব্লগে একটিভেট হয়ে যাবে। দেখুন এবার আপনার বর্তমান থিমের জায়গায় নতুন থিমের নাম রয়েছে।

মজার ব্যাপার হল প্রত্যেকটা থিমের অপশন ভিন্ন ভিন্ন রকম। ডিফল্ট হিসেবে সিলেক্ট থাকা Kubrick থিমের অপশনগুলি ছিল * Widgets * Extras * Custom Image Header * Color Header এবং* Edit CSS , কিন্তু বর্তমান Digg 3 Column থিমের অপশনগুলি হলো:-
Widgets, Extras, Custom Image Header এবং Edit CSS
এখানে Color Header নামক অপশনটি নেই।
আমরা আগামী পর্বে থিমের এইসব অপশনগুলি নিয়ে কিভাবে কাজ করতে হয়, বা এই অপশনগুলি কিভাবে পরিবর্তন করা যায় সেবিষয়ে বিস্তারিত জানবো।

Stumble ThisFav This With TechnoratiAdd To Del.icio.usDigg ThisAdd To RedditAdd To FacebookAdd To Yahoo

গত পোস্টে আমরা ওয়ার্ডপ্রেসে (Wordpress.com) কিভাবে ব্লগ খোলা যায়, এর এডমিনিস্ট্রেশন প্যানেলের পরিচিতি এবং এই এডমিনিস্টশন প্যানেলের (Administration Panel) কার্যাবলী সম্পর্কে আমরা এর আগেই জেনেছি। আজ আমরা জানবো একটি নতুন পোস্ট কিভাবে লিখতে হয়, এই অংশের বিভিন্ন বাটন এর পরিচয় এবং তাদের কাজগুলি কি কি?নতুন পোস্ট (New Post) লেখার যে পেজটি তার আশেপাশের বিভিন্ন বাটন (Button) সম্পর্কে জেনেছি। আজ জানবো নতুন পোস্ট (New Post) লেখার জন্য বা আপনার পোস্টটিকে নানারকমভাবে সাজানোর জন্য বিভিন্ন বাটনের ব্যবহার। আপনার পোস্টটিকে পাঠকের কাছে সহজবোধ্য ও বিভিন্নরকম ফরমেটে (Format) সাজিয়ে বা লেখার বিভিন্ন বর্ণ বা শব্দ বা বাক্যকে রঙিন করে বা মোটা (Bold), চিকন (Condensed), বাঁকা (Italic) করে উপস্থাপন করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস (Wordpress) বেশ কিছু সুবিধা দেয়। এই সুবিধাগুলো পোস্ট লেখার জায়গার ঠিক উপরে বাটন (Button) হিসেবে রয়েছে। আমরা আজ এই বাটনগুলির ব্যবহার শিখবো।
উপরের ছবিটিতে তিনটি জায়গায় তিনটি ভিন্ন রঙে ডিম্বাকার চিহ্ন (Mark) দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে শিরোনাম লেখাটির ঠিক নিচের গোলাপী রঙের জায়গাটিতে আপনাকে আপনার লেখার শিরোনাম (Title) লিখতে হবে। তার ঠিক নিচে পোস্ট লেখার ঠিক নিচে লাল রঙের চিহ্নিত জায়গাটিতে রয়েছে মোট ১৫টি বাটন। প্রত্যেকটি বাটনের উপরে মাউস পয়েন্টার নিয়ে গেলে টুলটিপ (Tool Tip) দেখাবে। আমরা একে একে বাটনগুলির পরিচয় জানি।
* B : পোস্টের কোন শব্দকে সিলেক্ট (Select) করে এই বাটনটি চাপলে লেখাটি বোল্ড (Bold) হবে। আবার এই বাটনটি চেপে তারপর লিখলেও পরবর্তি লেখাগুলি বোল্ড হবে।
*I: এই বাটনটি দিয়ে আপনার লেখাকে ইটালিক (Italic) অর্থাৎ একটু বাঁকা করা যাবে।
পরবর্তী বাটনগুলো দিয়ে আপনি একে একে লেখার মাঝখানে কাটা দাগ, বুলেট (Bullet) বা নাম্বারিং (Numbering) করা, উদ্ধৃতি দেয়া (Quote), লেখাটিকে বাম পার্শ্বে বা মাঝখানে বা ডানপাশে এলাইনমেন্ট (Alignment) করতে পারবেন।
কোন লিংক (Link) দিতে চাইলে শব্দকে সিলেক্ট করে শিকলের (Chain) ছবিযুক্ত বাটনে প্রেস করলে একটি আলাদা বক্স আসবে। সেখানে কোন ওয়েবসাইটের লিংকটি (Website Link/ Url) লিখে দিতে হবে।
Link URL লেখা জায়গাটিতে লিখে দেয়া লিংকটি বা ওয়েবপেজটি (Webpage) কিভাবে ওপেন হবে তা নির্দিষ্ট করতে পারবেন টার্গেট লেখা ড্রপডাউন মেনু (Dropdown menu) সিলেক্ট (Select) করে। আপনি ইচ্ছে করলে বর্তমান ওয়েবপেজের (Webpage) বদলে/ মধ্যেই নতুন পেজটি খুলতে দিতে পারেন, বা আলাদা উইন্ডোতে (Window) ওয়েব পেজটি খোলার অপশন (Option) সিলেক্ট করতে পারেন। আপনার দেয়া লিংকটির শিরোনাম (Link title) কি হবে তা শিরোনাম লেখা জায়গায় লিখে দিন। Class লেখা জায়গাটির ড্রপডাউন মেনু থেকে সিলেক্ট করুন লিংকটির এলাইনমেন্ট কি হবে? এবার Insert বাটনে প্রেস করলে লিংকটি আপনার পোস্টে লেখা হয়ে যাবে। আপনি যদি ভুলক্রমে কোন শব্দে লিংক দিয়ে ফেলেন তাহলে লিংক দেয়া শব্দটি সিলেক্ট করে ভাঙা শিকলের ছবিতে ক্লিক করলে লিংকটি উঠে যাবে।

এর পরের বাটনটি হল Read More ধরণের বাটন। এখানে ক্লিক করলে মূল পোস্টের মধ্যে একটা ব্রেক হয়ে যাবে। ফলে প্রকাশিত লেখাটির কিছু অংশ উপরে দেখাবে। আর বাকী অংশটুকু পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করতে হবে। খুব বড় পোস্ট হলে এই অপসনটি খুব কাজে দেবে।
এর পরের ABC লেখা বাটনটি দিয়ে বানান ঠিক করতে পারবেন।
এর পাশের বাটনটি দিয়ে ফুলস্ক্রিন (Full screen) করা যাবে।
দুই সারি ডটডট দেয়া আইকনটিতে ক্লিক (Click) করলে আরও বেশ কিছু বাটন ওপেন হবে। এগুলো কম প্রয়োজন হয় বলে লুকানো (Hidden) থাকে।
এখানে একে একে পোস্টের প্যারাগ্রাফ (Paragraph), শব্দ বা বর্ণকে আন্ডারলাইন (Underline) করা, এলাইন ফুল করা, ফন্টের রঙ (Font Color) পরিবর্তন করা, কোন টেক্সটকে পেস্ট করা (Paste), কোন ওয়ার্ড ফাইল (Word Document) থেকে লেখাকে পেস্ট করা, কেন পরিবর্তনকে (Formatting) মুছে ফেলা, লেখাকে ইনটেন্ড (Intend) করা বা আউটটেন্ট (Outtend) করা, বাতিল (Undo) করা বা সাহায্য নেয়া যাবে। এখানে ইরেজ বাটনের ডানপাশের ঘোড়ার নালের মত বাটনটি প্রেস করে আপনি কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার লিখতে পারবেন। যেমন ¼, ψ, β, ¿, æ ইত্যাদি।

উপরের ছবির সবুজ রঙে ঘেরা জায়গাটিতে দেয়া বাটনগুলো দিয়ে আপনি আপনার পোস্টে বিভিন্নরকম মিডিয়া (Media) যেমন ছবি (Image), গান (Music), ভিডিও (Video) ইত্যাদি পোস্ট (Post) করতে পারবেন।

আপনার কম্পিউটারে থাকা কোন ছবি থাকলে তা Browse বাটন প্রেস করে দেখিয়ে দিন। ওয়ার্ডপ্রেস নিজে থেকেই ছবিটি আপলোড (Upload) করে নিবে। কিংবা কোন ওয়েবসাইটে থাকা ছবি দিতে চাইলে সেই ছবিটার লিংক দিন নিচের From Url এর Source লেখা ফাঁকা জায়গায়। ছবির নাম (Image Title), ক্যাপশন (Caption) ইত্যাদি লিখে দিন।
ভিডিওর ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেস সরাসরি আপলোডের সুবিধা দেয় না। ইউটিউব (Youtube) বা অন্য কোন ভিডিও শেয়ারিং সাইটে থাকা ভিডিওটির লিংক URL ঘরে লিখে দিন। পোস্টের সুবিধামত জায়গায় ভিডিওটি বসে যাবে।

কমলা রঙের বড় বাটনটি দিয়ে আপনি নিজস্ব প্রশ্ন ও বাছাই করা উত্তর দিয়ে কোন ভোট (Poll) পোস্টে দিতে পারেন।

সমস্ত ফরমেট সম্পূর্ণ হলে পোস্ট লেখা জায়গার ডান পার্শ্বে প্রকাশ লেখা বাটনটিতে প্রেস করে পোস্টটিকে ব্লগে প্রকাশ করুন (Publish your post on blog)।

Stumble ThisFav This With TechnoratiAdd To Del.icio.usDigg ThisAdd To RedditAdd To FacebookAdd To Yahoo

ওয়ার্ডপ্রেসে (Wordpress.com) কিভাবে ব্লগ খোলা যায়, এর এডমিনিস্ট্রেশন প্যানেলের পরিচিতি এবং এই এডমিনিস্টশন প্যানেলের (Administration Panel) কার্যাবলী সম্পর্কে আমরা এর আগেই জেনেছি। আজ আমরা জানবো একটি নতুন পোস্ট কিভাবে লিখতে হয়, এই অংশের বিভিন্ন বাটন এর পরিচয় এবং তাদের কাজগুলি কি কি?


আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে লগইন (Login) করুন। ড্যাসবোর্ড (Dashboard) বা খেরোখাতা অংশ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এই খেরোখাতা অংশের উপরে বামপাশের (Leftside) কোনায় লিখুন লেখাটির উপরে ক্লিক (Click) করুন। পাশের ছবিতে গোলচিহ্ন দিয়ে 'লিখুন' লেখাটিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই বাটনটি দিয়ে আপনাকে পোস্ট লেখা শুরু করতে হবে। এখানে ক্লিক করার পর যে পেজ বা পাতাটি আসবে তার চেহারা নিচের চিত্রের মতো হবে।

এই পাতাটিই আপনার পোস্ট লিখুন পাতা। এই পাতার চারপাশের বিভিন্ন বাটনের সাথে আমরা আগে পরিচিত হয়ে নেই। ডানপাশে দেখবেন একটি কলাম আছে। এই কলামের বাটনগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার লেখাটিকে সঠিকভাবে প্রকাশ করতে তথা পাঠকের কাছে আপনি যেরকম ভেবেছেন ঠিক সেভাবে উপস্থাপন করার জন্য এই কলামের বাটন বা কমান্ডগুলো আপনাকে সম্পূর্ণরূপে সহায়তা করবে।

(*) ডানপাশের কলামের একেবারে উপরে রয়েছে Publish Status, এই লেখাটির ঠিক নিচে একটি ড্রপ ডাউন বক্সে তিনরকম লেখা আছে। 'প্রকাশিত', 'Pending Review', 'Unpublished'- আপনার লেখাটি প্রকাশিত নাকি ড্রাফট (Draft) করে লিখে রেখে দিয়েছেন, এখনও প্রকাশিত (Publish) হয় নাই, নাকি এটা একটি প্রকাশিত লেখা তা এই ড্রপ ডাউন মেনু (Drop down menu) থেকে বোঝা যাবে।

(*) এর ঠিক নিচে রয়েছে দুইটি সিলেক্ট বাটন (Select button)। এখানে Keep this post private অথবা Stick this post to the front page যে কোন একটা সিলেক্ট করে লেখাটির অবস্থা নির্দিষ্ট করতে পারবেন। আপনি যদি লেখাটিকে একান্ত ব্যক্তিগত (Private) করে রাখতে চান, তাহলে এই পোস্টটি আর কেউ দেখতে পারবে না। শুধুমাত্র আপনিই পোস্টটিকে দেখতে পারবেন। আর যদি কোন বিশেষ ঘটনা বা দিবসের বাণী বা এ জাতীয় যা আপনি আপনার ব্লগের মাথার উপরে বেশ কয়েকদিন ধরে ঝুলিয়ে রাখতে চান তাহলে Stick this post to the front page অংশটি মাউজ দিয়ে সিলেক্ট করতে হবে।

(*) Publish immediately সম্পাদনা: এই লেখাটির মাধ্যমে আপনি লেখাটিকে তাৎক্ষণিকভাবে (Instantly) প্রকাশিত করতে পারেন অথবা ভবিষ্যতের কোন তারিখে নির্দিষ্ট সময়ে সিডিউল (Schedule) করার মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেন।

(*) সংরক্ষণ, প্রকাশ: আপনার ব্লগপোস্টটিকে এখনই প্রকাশ করতে পারেন, অথবা ভবিষ্যতে আরও সম্পাদনার জন্য সেভ (Save) করে রেখে দিতে পারেন। 'সংরক্ষণ' বাটনে ক্লিক করলে লেখাটি সেভ (Save) হয়ে থাকবে। 'প্রকাশ' (Publish) বাটনে ক্লিক করলে তাৎক্ষনিকভাবে লেখাটি পোস্ট (Post) হবে।
এর ঠিক নিচে কিছু তথ্য দিয়ে পোস্টটির বর্তমান অবস্থা জানানো হয়। যেমন এখন লেখা রয়েছে "Draft Saved at 10:25:36 am. Word count: 406" ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগের একটি দারুণ সুবিধা হল Autosave এই সুবিধার মাধ্যমে আপনি আপনার লেখাটি লিখতে থাকলে ওয়ার্ডপ্রেস নিজে থেকে কিছুক্ষণ পরপর অটোমেটিক (Automatic) সেভ করে নিবে। হঠাৎ করে কোন সমস্যার কারণে লেখাটি হারিয়ে যাবে না, আপনাকে প্রথম থেকে লিখতে হবে না।

(*) Related: এই অংশে পোস্ট লেখা সম্পর্কিত প্রায় একই রকমের কয়েকটি কাজের লিংক আছে।

(*) Shortcuts: এখানে আপনি আপনার পছন্দ মতো কয়েকটি শর্টকাট রেখে দিতে পারেন।

(*) পোস্ট লেখার ফাঁকা জায়গার ঠিক নিচে দুটি অতি প্রয়োজনীয় অংশ আছে। একটি হল "Tags" এবং "বিভাগ"। এই দুটি অংশ আপনার পোস্ট এবং ব্লগ দুটির জন্য খুব জরুরী এবং অত্যাবশকীয় অঙ্গ। আপনার লেখাটিকে কোন তালিকায় রাখবেন? এটা কি খেলাধুলা সম্পর্কিত নাকি রান্নাবান্না বিষয়ে লেখা। আপনার কবিতা নাকি গল্প। সাহিত্যকাজ নাকি ছবিতোলা। ভ্রমণের ডায়রি নাকি কোন নতুন সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা। এ ধরণের বিভিন্ন পরস্পর সম্পর্কহীন বিষয়ে আপনি লিখতে পারেন। কিন্তু সেগুলোকে একই তালিকায় রাখার জন্য এই Tags এবং 'বিভাগ' এর সাহায্য আপনাকে নিতেই হবে। Tags লেখা খালি ঘরে আপনার পোস্টের Tagগুলো লিখুন। 'বিভাগ' লেখা অংশে নতুন বিভাগ তৈরি করুন কিংবা আগে থেকে রয়েছে এমন একটি বিভাগ টিক চিহ্ন দিয়ে সিলেক্ট করে দিন।

(*) Tags: ট্যাগ লেখার ঠিক নিচের টেক্স বক্সে আপনার পোস্টের ট্যাগ লিখুন। একাধিক ট্যাগের আওতায় লেখাকে রাখতে চাইলে শুধুমাত্র কমা দিয়ে আলাদা করে ট্যাগগুলো লিখুন। আলাদাভাবে শব্দের পর স্পেস (Space) দেয়ার দরকার নেই।
(*) বিভাগ: '+ Add New Category' লেখার ঠিক নিচের ফাকা টেক্টবক্সে বিভাগের নাম লিখে Add বাটনে প্রেস করলে নতুন বিভাগ তৈরি হবে। এই বিভাগটিকে আপনি Parent Category হিসেবে রাখতে পারেন, কিংবা অন্যকোন বিভাগের অন্তর্গত করতে পারেন। যেমন: জীববিদ্যা বলতে প্রাণীবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা বোঝায়। কিন্তু প্রাণীবিদ্যা বিষয়টাকে জলজ, কীটপতঙ্গ ইত্যাদি ভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে। কোন বিভাগ সিলেক্ট না করলে পোস্টটি ডিফল্ট হিসেবে Uncategorized হয়ে থাকবে, অর্থাৎ আপনার পোস্টটি কোন বিভাগে তালিকাভুক্ত হবে না।

(*) Advanced Options: এখানে যারা html জানেন তাদের জন্য কিছু করার আছে। তারা ইচ্ছে করলে কিছু টেকনিক্যাল কোড এখানে স্থাপন করতে পারেন।

(*) Trackbacks: আপনার পোস্টটি প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে যদি আপনি কোন Trackback করতে চান, অর্থাৎ কাউকে জানাতে চান তাহলে তার ওয়েব এড্রেস এখানে লিখে রাখতে পারেন। একাধিক ওয়েব এড্রেস শুধমাত্র কমা দিয়ে পরপর লিখে যান।

(*) Comments & Pings: আপনার পোস্টটিতে পাঠককে মন্তব্য করতে দিবেন কিনা তা এখানে থেকে নির্ধারিত করতে পারেন। যদি কাউকে কমেন্ট করতে দিতে না চান তাহলে টিক চিহ্নটিতে ক্লিক করুন। টিক চিহ্ন উঠে যাবে অর্থাৎ এর ফলে কেউ এই পোস্টটিতে মন্তব্য করতে পারবে না। আর যদি মন্তব্য (Comment) করতে দিতে চান, তাহলে টিক চিহ্ন থাকবে। ডিফল্ট হিসেবে টিক চিহ্ন দেয়াই থাকে। আপনাকে কিছু করতে হবে না।

Ping অংশটিতেও একই ব্যাপার। যদি আপনি আপনার পোস্টটিতে Ping করতে দিতে চান, তাহলে টিক চিহ্নটি থাকবে। এটাকে ক্লিক করে উঠিয়ে দেয়ার দরকার নেই।

(*) Password Protect This Post: ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগের এটা একটা বিশেষ ফিচার (Feature)। এই বিশেষ ফিচারটি আর অন্য কোন ব্লগ প্রভাইডার (Blog provider) প্রদান করে না। এখানে টেক্ট বক্সে (Test box) আপনি পাসওয়ার্ড দিয়ে পোস্টকে প্রকাশ করলে তা পাসওয়ার্ড দিয়ে বন্ধ থাকবে। পোস্টটি প্রকাশ হবে, কিন্তু নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড প্রদান না করলে পোস্টটিকে দেখা বা পড়া যাবে না। আপনি আপনার পছন্দের ব্যক্তির জন্যই শুধু একটি পোস্টকে প্রকাশ্য রাখতে পারেন। হয়তো তাকে ইমেইল (Email) করে পাসওয়ার্ডটি জানিয়ে দিলেন। তিনি পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে ব্লগের সেই বিশেষ পোস্টটি পড়তে পারবেন। আর অন্যরা অন্য স্বাভাবিক পোস্টগুলো পড়বেন কিন্তু এই বিশেষ পোস্টটি ওপেন করতে পারবেন না।

Stumble ThisFav This With TechnoratiAdd To Del.icio.usDigg ThisAdd To RedditAdd To FacebookAdd To Yahoo

ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ এডমিন প্যানেল পরিচিতি ও কিছু দিক


ফ্রী ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগিং সাইট তৈরী করুন

http://bn.wordpress.com সাইটে গিয়ে ইউজার নেম (Username) এবং পাসওয়ার্ড (Password) দিয়ে লগইন (Log in) করলে অন্যরকম একটি পেজ ওপেন হয়। এই পেজের চেহারা আপনার ব্লগের চেহারার মতো নয়। এটাই আপনার ব্লগের এডমিন প্যানেল, বা কন্ট্রোল প্যানেল বা খেরোখাতা, তা সে যে নামেই ডাকুন না কেন? এই এডমিন প্যানেলে একমাত্র আপনি প্রবেশ করতে পারবেন। ব্লগের এই অভ্যন্তরভাগ দেখার অধিকার শুধুমাত্র আপনারই আছে। আপনি এই অংশে রয়েছেন তার অর্থ আপনি ব্লগের ফ্রন্ট পেজের পিছনে রয়েছেন। নাট্য মঞ্চের পিছনে বসে পরিচালক (Administrator) যেমন সমস্ত নাটকটাকে পরিচালনা করে, সিনেমার পরিচালক যেমন ক্যামেরার পিছনে থাকেন, ঠিক তেমনি আপনিও আপনার ব্লগের ফেস বা চেহারার পিছনে রয়েছেন। এখান থেকে আপনি আপনার ব্লগের বিভিন্ন কিছু দেখতে পারবেন এবং করতে পারবেন।

আপনি এই অংশ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে যা যা দেখতে পারবেন তার একটি প্রাথমিক বর্ণনা এই পোস্টে রয়েছে। আজ জানবো এই কন্ট্রোল প্যানেল থেকে আপনি কি কি করতে পারবেন।

আপনি এই এডমিন প্যানেল থেকে যা যা করতে পারবেন, তা হল:
(১) নতুন পোস্ট (New Post) লিখতে পারবেন।
(২) নতুন পাতা (New Page) তৈরি করতে পারবেন।
(৩) পুরাতন পোস্টকে (Modify) পরিবর্তন করতে পারবেন।
(৪) আগে তৈরি করা কোন পাতাকে পরিবর্তন, পরিবর্ধন কিংবা পরিমার্জন (Edit) করতে পারবেন।
(৫) কারও করা কোন মন্তব্য সম্পাদনা (Moderate) করতে পারবেন। মন্তব্যকে প্রকাশ করা, মন্তব্যকে বাতিল করা বা কোন খারাপ শব্দকে মুছে ঠিক করতে পারবেন।
(৬) মন্তব্যকারীর পরিচয় অর্থাৎ আইপি এড্রেস, (IP address) তারিখ (date), সময় (Time), ইমেইল এড্রেস (Email Address) জানতে পারবেন।
(৭) আপনার প্রিয় ব্লগের ডিজাইন বা সৌন্দর্য (Template or Theme) পরিবর্তন করতে পারবেন।
এছাড়াও
(৮)* Settings ও * ব্যবহারকারি বাটনদুটো দিয়ে আপনার ব্লগের বেশ কিছু কারিগরি পরিবর্তন ঘটাতে পারবেন।

Stumble ThisFav This With TechnoratiAdd To Del.icio.usDigg ThisAdd To RedditAdd To FacebookAdd To Yahoo

আমরা আগের পোস্টে জেনেছি কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস (Wordpress.com) এ ফ্রি ব্লগ (Free Blog) খোলা যায়। অন্যান্য ব্লগিং প্লাটফরমের (Blogging Platform) মতো ওয়ার্ডপ্রেস এও আমরা নানারকম পরিবর্তন সাধন করতে পারবো। এজন্য আজ আমরা জানবো ওয়ার্ডপ্রেসের এডমিন প্যানেলের (Admin Panel) নানারকম কিছু দিক। এই প্যানেলের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রিয় ব্লগকে পাঠক দর্শকের কাছে আরও উপযোগী করে, আরও আকর্ষনীয় করে উপস্থাপন করতে পারবো। বিভিন্ন জায়গায় ছবি প্রদর্শন, বন্ধুদের ব্লগ তালিকা করা, পোস্টগুলোকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা, মন্তব্যসমূহকে সাজিয়ে প্রকাশ করা, ব্লগের চেহারা তথা থীম পরিবর্তন ইত্যাদি নানারকমের পরিবর্তন ওয়ার্ডপ্রেস এর এডমিন প্যানেল থেকে করা সম্ভব।

প্রথমে bn.wordpress.com পেজে গিয়ে পাশের ছবির মতো জায়গায় আপনার ব্যবহারকারি নাম (User name) এবং পাসওয়ার্ড (Password) লিখুন। আমাকে মনে রেখো লেখাটির পাশের ছোট্ট চারকোণা বক্সে ক্লিক করে একটা টিক চিহ্ন দিয়ে দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে ব্রাউজার আপনার নাম ও পাসওয়ার্ড সেভ করে রাখবে, পরবর্তীতে আবার লগইন করতে চাইলে bn.wordpress.com পেজ এ আসলেই আপনার নাম ও পাসওয়ার্ড (name and password) এই ঘরদুটোতে দেখা যাবে, নতুন করে আবার লিখতে হবে না। (এটা শুধুমাত্র বাড়িতে নিজস্ব কম্পিউটারের ক্ষেত্রে চলবে। সাইবার ক্যাফেতে ব্লগিং করার সময় করা সম্পূর্ণভাবে নিষেধ।

সেক্ষেত্রে পরবর্তিতে কেউ এসে আপনার ব্লগের কন্ট্রোল নিয়ে নিতে পারে। আপনার ব্লগে আপনাকে ব্লক করে ফেলতে পারে। আপনার অজান্তে অপ্রাসঙ্গিক পোস্ট লিখে দিতে পারে। কিংবা আপনার ব্লগটিই মুছে ফেলতে পারে।) এবার লগইন (Login) লেখাটির উপরে ক্লিক করে আপনার ব্লগের অভ্যন্তরে তথা এডমিন প্যানেল তথা কন্ট্রোল প্যানেলে প্রবেশ করুন। এই অংশের চিত্র নিম্নরূপ:-
এখানে একবারে উপরে বাম পার্শ্বে লেখা আছে My Account, My Dashboard, New Post। My Account এর উপরে মাউজ নিয়ে গেলে একটা ড্রপ ডাউন মেনু উন্মুক্ত হবে। সেখানে লেখা থাকবে:
  • Global Dashboard
  • Tag Surfer
  • My Comments
  • Stats
  • Edit Profile
  • Contact Support
  • WordPress.com
  • Log Out
এখানে My Dashboard এ ক্লিক করে আপনার ব্লগের ড্যাসবোর্ড এ প্রবেশ করতে পারবেন। New Post বাটনে ক্লিক করে নতুন পোস্ট লেখা শুরু করতে পারবেন।


এর ঠিক নিচে এক লাইনে লেখা আছে লিখুন ম্যানেজ Design Comments 0 Upgrades
এখানে লিখুন বাটনে ক্লিক করে নতুন পোস্ট লেখা শুরু করতে হবে।
এখানে ম্যানেজ বাটনে ক্লিক করে আপনার পোস্ট, দর্শকদের করা মন্তব্য ও পেজগুলোর নানারকম পরিবর্তন করতে পারেন।
Design বাটনে ক্লিক করে ব্লগটির ডিজাইন পরিবর্তন করতে পারবেন।
Comment লেখাটিতে ক্লিক করে আপনার ব্লগে করা মন্তব্যসমূহকে মডারেট করতে পারবেন। এখানে ডিফল্ট হিসেবে 0 লেখা আছে। এর অর্থ এখনও এই ব্লগে কেউ কোন মন্তব্য করেনি।
Upgrades বাটনে ক্লিক করে ওয়ার্ডপ্রেস এর ভার্সন পরিবর্তন হলে নতুন ভার্সনে আপগ্রেড করতে পারবেন। ছবিতে দেখুন, হলুদ ব্যাকগ্রাউন্ডযুক্ত লম্বা লাইনটিতে কিছু লেখা আছে। ওয়ার্ডপ্রেস এর ভার্সন পরিবর্তন হলে এখানে লেখা থাকবে।

লিখুন ম্যানেজ Design Comments 0 Upgrades লেখার ঠিক নিচে লেখা আছে

খেরোখাতা ব্লগ পরিসংখ্যান Blog Surfer আমার মন্তব্য সমূহ ট্যাগ Surfer

এখানে খেরোখাতা হল তাই যা আপনি দেখছেন। অর্থাৎ উপরের ছবিটির সম্পূর্ণ অংশটিই আপনার খেরোখাতা।

ব্লগ পরিসংখ্যান হল, আপনার ব্লগটি কতবার ভিজিট (Visit) করা হয়েছে, মাসের কোন দিন, কোন সপ্তাহে বা কোন মাসে কতজন ভিজিট করেছে, তার একটি তালিকা এখানে প্রদর্শন করা হবে। এছাড়াও কোথা থেকে আপনার দর্শক এসেছেন, কোন লিংকে তিনি আপনার ব্লগের ঠিকানা পেয়েছেন, আপনার ব্লগের সবচেয়ে জনপ্রিয় পোস্ট ও পেজ কোনটি বা কোনগুলো ইত্যাদি বিভিন্নরকম তথ্য এই জায়গায় প্রদর্শন করা হবে।

Blog Surfer অংশটি এখনও বেটা পর্যায়ে রয়েছে। অর্থাৎ ওয়ার্ডপ্রেস কোম্পানী এই অপশনটি নিয়ে এখনও পরীক্ষানিরীক্ষা করছে।

আমার মন্তব্যসমূহ অংশে আপনি লগইন অবস্থায় ওয়ার্ডপ্রেসের অন্য কোন ব্লগে যদি মন্তব্য করে থাকেন, সেগুলোর একটি তালিকা দেখাবে।
ট্যাগ Surfer অংশে আপনার পছন্দের কোন ট্যাগ এর অন্তর্গতে কোন লেখা নিজে দেখতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস সার্ভারে যত ব্লগ আছে সেগুলোতে আপনার পছন্দের ট্যাগ এর অন্তর্গত কোন লেখা প্রকাশিত হলে এই জায়গাতে তা প্রদর্শিত হবে।
ব্লগের খেরোখাতার নিচের অংশে আরও যা দেখা যাবে তা হল: Recent Comment, উপস্থিত লিংক, Stats- এখানি আপনার ব্লগটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন, Top Posts, Top Serches, Most Active:- আপনার ব্লগের এই সব বিষয় কোন কোন পোস্টে বা পেজে রয়েছে তা লেখা থাকবে এখানে। আপনার ব্লগের কোন পোস্টটি জনপ্রিয়, ব্লগে কোন শব্দটি বেশি খোঁজা হয়েছে বা আপনার ব্লগের কোন অংশটি সবচাইতে বেশি active তার একটি সারাংশ এখানে প্রদর্শিত হবে, Your Stuff অংশে আপনার নতুন পোস্ট, নতুন পৃষ্ঠা এবং নতুন মন্তব্যসমূহ লেখা থাকবে।, What's Hot অংশে রয়েছে
WordPress.com News: এখানে ওয়ার্ডপ্রেসের নিজস্ব নতুন খবর জানা যাবে।
Top WordPress.com blogs today: আজকে কোন ব্লগগুলো বেশিবার ভিজিট করা হয়েছে, তা ক্রমানুসারে এই অংশে প্রদর্শিত হবে।
Top Posts from around WordPress.com: কোন পোস্টগুলো বেশিবার পড়া হয়েছে,তা ক্রমানুসারে এখানে দেখানো হবে।
Fastest Growing WordPress.com blogs: কোন ব্লগগুলো দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তা দেখানোর জায়গা এটি।
Latest Posts: সর্বশেষ কোন পোস্টটি লেখা হয়েছে, তা এখানে দেখানো হবে।

Stumble ThisFav This With TechnoratiAdd To Del.icio.usDigg ThisAdd To RedditAdd To FacebookAdd To Yahoo

ব্লগিং প্লাটফরমগুলোর মধ্যে এক বিখ্যাত নাম ওয়ার্ডপ্রেস। wordpress.com এবং wordpress.org দুটি ভিন্ন ঠিকানায় এরা দুই রকম সেবা দেয়। প্রথম ঠিকানায় (wordpress.com) আপনি বিনা পয়সায় একটি ব্লগ তৈরি করতে পারবেন। এই ব্লগটি হবে ওয়ার্ডপ্রেস এর সাবডোমেইন। অর্থাৎ আপনার প্রত্যাশিত নামের পরে wordpress.com শব্দটি বসবে। এক্ষেত্রে আপনার ব্লগএড্রেস হবে ******.wordpress.com, এখানে স্টার (*) চিহ্নিত জায়গায় আপনার নাম হবে। এই ঠিকানায় ব্লগলেখার ক্ষেত্রে আপনি পূর্ণ স্বাধীনতা বোধ করবেন, কিন্তু কিছু কিছু টেকনিক্যাল বিষয় যেমন CSS Edit করা বা HTML Code পরিবর্তন করার অধিকার আপনার থাকবে না। এইটুকু সীমাবদ্ধতায় অবশ্য কোনরকম সমস্যা নেই। আপনি যদি ওয়েব এপ্লিকেশন সম্পর্কে বা html সম্পর্কে কিছু না জানেন তাহলে এই ফিচারগুলোর কোন প্রয়োজন আপনার কখনো হবে না। একজন সাধারণ ব্যবহারকারী হিসেবে অতকিছু জানারও অবশ্য কোন প্রয়োজন নেই।

আর দ্বিতীয় ঠিকানায় (wordpress.org) আপনি নিজস্ব ঠিকানাযুক্ত ডোমেইন ও হোস্টিং এর গর্বিত মালিক হতে পারবেন। এখানে CSS বা html এডিটিং বিষয়ে আপনি পূর্ণ স্বাধীনতা সংরক্ষণ করবেন।

আজ আমরা শিখব wordpress.com এ কিভাবে একটি নিজস্ব ফ্রি ব্লগ (Free Blog) তৈরি করা যায়।

আপনার ব্রাউজারের এড্রেসবারে দু'ভাবে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস এর সার্ভারে যেতে পারেন। http://wordpress.com অথবা http://bn.wordpress.com যে কোন একটা ঠিকানা লিখে ওয়ার্ডপ্রেস এর মূল সার্ভারে প্রবেশ করুন। এক্ষেত্রে আমি অবশ্য আপনাকে http://bn.wordpress.com সার্ভারটি ব্যবহারের পরামর্শ দিব। অর্থাৎ ব্রাউজারের এড্রেসবারে আপনাকে http://bn.wordpress.com ঠিকানাটি লেখার অনুরোধ জানাব। কারণ এটা বাংলা ওয়ার্ডপ্রেস এর সার্ভার। বাংলাভাষীরা সাধারণত এই সার্ভারটি ব্যবহার করেই তাদের ব্লগ খুলে থাকেন।

http://bn.wordpress.com ঠিকানাটি লিখে সার্ভারে প্রবেশ করলে নিচের ছবির মতো পেজ ওপেন হবে।

(ছবিতে ক্লিক করলে বড় ছবি দেখা যাবে)। এখানে উপরের এড্রেসবারটি লাল দাগ দিয়ে গোল করে দেয়া আছে। লক্ষ্য করুন ঠিকানাটি http://bn.wordpress.com। এবারে টিক চিহ্ন দেয়া Sign Up Now বাটনটির উপরে ক্লিক করুন।


এখানে ক্লিক করলে নতুন আর একটি পেজ ওপেন হবে। এই পেজটিতে দেয়া ঘরগুলো ঠিক মতো পূরণ করুন।



অর্থাৎ ব্যবহারকারি লেখা ঘরে আপনার নাম লিখুন। পাসওয়ার্ড (Password) ঘরে আপনার পছন্দের পাসওয়ার্ড লিখুন। Confirm ঘরে পাসওয়ার্ডটি আর একবার লিখুন। Email Address ঘরে আপনার ইমেইল ঠিকানাটি লিখুন। Legal Flotsum লেখাটির পাশের ছোট্ট সাদা বক্সে মাউস দিয়ে একবার ক্লিক করুন। I have read and agree to the fascinating terms of service. লেখাটির পাশে একটি টিক চিহ্ন বসে যাবে। এবার দুটো অপশনের মধ্যে যে কোন একটা পছন্দ করুন।

আপনি যদি শুধুমাত্র একটি ইউজারনেম চান, তাহলে দ্বিতীয় ঘরটির পাশের ছোট্ট গোল ঘরে ক্লিক করুন। আর যদি ব্যবহারকারি ঘরে লেখা নামে একটি ব্লগ খুলতে চান তাহলে প্রথম ঘরটিতে ক্লিক করুন। আপনি যেহেতু ওয়ার্ডপ্রেস এ ব্লগ খুলতে যাচ্ছেন, সেহেতু প্রথম ঘরটিতে ক্লিক করুন। সবশেষে Next button এ ক্লিক করুন। এবার আরেকটি পেজ আসবে।
এখানে আপনার ব্লগের ডোমেইন (Blog Domain), ব্লগের নাম (Blog Title), ভাষা (Language) ইত্যাদি নিজের পছন্দমতো পরিবর্তন করুন। লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত জায়গাটিতে আপনার ব্লগের জন্য একটি পছন্দনীয় ও আকর্ষণীয় নাম দিন। Language ঘরের ড্রপডাউন মেনু থেকে Bn-বাংলা সিলেক্ট করুন। তাহলে আপনার ব্লগটির বিভিন্ন ফিচার বাংলাতেই দেখা যাবে। এবার Privacy লেখার পাশের লেখাটি পড়ুন। এখানে লেখা আছে "আমি চাই আমার ব্লগ গুগল বা টেকনোরাটির মত সার্চ ইঞ্জিনে যুক্ত হোক এবং ওয়ার্ডপ্রেসের public listings এও থাকুক।" এটা লেখার পাশের টিকচিহ্নটিতে ক্লিক করুন। অর্থাৎ টিক চিহ্ন দিয়ে দিন। এর ফলে আপনার ব্লগকে গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে। এবার Next Button এ ক্লিক করুন। ওয়ার্ডপ্রেসের নতুন একটি পেজ ওপেন হবে।
এখানে আপনার প্রোফাইল আপডেট (Profile Update) করতে পারেন। ইচ্ছে করলে ইমেইল এড্রেসটিও পরিবর্তন করতে পারবেন।

বিপরীতে আপনার ইমেইল এড্রেস এ ওয়ার্ডপ্রেস থেকে একটি মেইল আসবে।
মেইলটি খুলুন। সেখানে এরকম লেখা থাকবে।
Howdy,

Thank you for signing up with WordPress.com. You are one step away from blogging at banglablogtips.wordpress.com. Please click this link to activate your blog:

http://wordpress.com/activate/****************

--The WordPress.com Team

(If clicking the link in this message does not work, copy and paste it
into the address bar of your browser.)
এখানে স্টার (*) চিহ্নিত জায়গাটিতে আপনার নিজস্ব ইউনিক নাম্বার লেখা থাকবে। এই একটিভেশন লিংকটিতে ক্লিক করুন। ক্লিক করার মতো না হলে লিংকটি কপি (copy) করে ব্রাউজারের এড্রেসবারে (Addressbar) পেস্ট (paste) করে এন্টার (Enter) চাপুন। নতুন একটি পেজ খুলে আপনার রেজিস্ট্রেশন একটিভ হয়ে যাবে।
এখানে লেখা আছে Your account is now active, এর পাশাপাশি নিচের দুটো বক্সে আপনার ব্লগের ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ডটিও প্রদর্শিত হচ্ছে। পাসওয়ার্ডটি কোন গোপন জায়গায় লিখে রাখুন।
নিচে লেখা আছে View your site or Login। আপনি View your site বাটনে ক্লিক করে আপনার ব্লগটি দেখতে পারেন। কিংবা লগইন করে ব্লগিং শুরু করুন।

Stumble ThisFav This With TechnoratiAdd To Del.icio.usDigg ThisAdd To RedditAdd To FacebookAdd To Yahoo

থিমের ইংরেজী শব্দগুলোকে বাংলা করা থিমের ফোল্ডারে বেশ কিছু ফাইল দেখতে পাবেন যেগুলোই মূলতঃ ইউজার দেখতে পারে। সেই ফাইল গুলোর ইংরেজী শব্দগুলো পরিবর্তন করে বাংলা শব্দগুলো লিখে দিন। অবশ্যই ফাইলগুলোর ব্যাক আপ রেখে নিবেন।

থিম ফাইলের পরিচয়ঃ

home.php
সাধারণতঃ প্রথম পাতা প্রদর্শনের সময় home. php ফাইলটি এক্সিকিউট হয়।
Index. php
আর্কাইভ, ট্যাগ, ক্যাটাগরি, প্রথম পাতা ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
header.php
প্রায় প্রতিটি পাতাতেই যে অংশটি কমন থাকে তাহলো home .php.
Single.php
এটি হচ্ছে পোস্টের পাতা, প্রতিটি প্রোস্ট দেখার সময় মূলত: এই ফাইলটি প্রকাশিত হয়।
Sidebar.php
ডান বা বাম পাশের সাইড বার উইজেট Sidebar.php
Header.php ও Footer.php
হেডার ও ফুটার
Page.php
নতুন কোন পেজ বানালে প্রকাশ করার সময় এখানে থাকে
Comments.php
মন্তব্য প্রকাশিত হয় এখানেই।
Author.php,Category.php, ইত্যাদিও থাকতে পারে। আপনি চাইলেও এরকম পেজ বানিয় নিতে পারেন।

স্বাধারনত: যে সব শব্দ বাংলা করতে হবে

Home-প্রথম পাতা/নীড় পাতা
category-বিভাগ
tag-ট্যাগ
comments-মন্তব্য/মতামত
Leave a Comments-মতামত দিয়ে যান
Reply-জবাব/প্রত্তুত্তর
Submit-জমা করুন
Next-পরে
Previous-পূর্বে
Author-লেখক
Date-তারিখ
on-তাং
by-লেখক
ইত্যাদি।

Stumble ThisFav This With TechnoratiAdd To Del.icio.usDigg ThisAdd To RedditAdd To FacebookAdd To Yahoo

রিলেটেড পোস্ট প্লাগইনঃ একই রকম পোস্ট তালিকার জন্য অনেকেই রিলেটেড পোস্ট প্লাগইন ব্যবহার করে । আমি প্লাগইন ব্যাবহারের কিছু অসুবিধা থাকায় আমি কোড এ হাত দিতে ভয় পাই না। যারা প্লাগইন ব্যবহার না করে রিলেটেড পোস্ট পেতে চান তারা নিচের কোড টি কপি করে single.php তে যেখানে একই রকম পোস্ট দেখতে চান সেখানে পেস্ট করুন।
http://www.bin-co.com/blog/2009/04/show-related-post-in-wordpress-without-a-plugin/


সর্বাধিক পঠিত পোস্টঃ চাইলেই আপনারনার পোস্টের কত জনা পাঠক এসেছে তা গনণা করতে পারবেন। সর্বাধিক
দেখা পোস্টের তার তালিকা, মাসে বা সপ্তাহে হিসেব রাখতে পারবেন। এ জন্য টপটেন প্লাগইনটি সেটআপ করে নিন।

সর্বাধিক মতামত দাতাঃ কে সবার্ধিক মতামত দিয়েছেন তার তালিকা, মাসিক সর্বাধিক মতামতদ্তার তালিকা পেতে এই প্লাগইনটি ব্যবহার করতে পারেন।

বিস্তারিতঃ http://tutorialbd.com/bn/?p=3216

Stumble ThisFav This With TechnoratiAdd To Del.icio.usDigg ThisAdd To RedditAdd To FacebookAdd To Yahoo

একটি বাংলা ওয়েব সাইট বানাতে ওয়ার্ডপ্রেস সেটআপেরপর বাড়তি যা করতে হবে তা হলো:

  • ১. বাংলা ভাল ফন্টের জন্য থিমের style.css ফাইলটি সম্পাদনা করতে হবে।
  • ২. থিম ফোল্ডারের ফাইলগুলোর ইংরেজী কিছু কিছু শব্দের বাংলা অনুবাদ করা।
  • ৩. ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে ফন্ট সেটআপ ছাড়াই যাতে বাংলা পড়া যায় তার ব্যবস্থা করা: eot ফাইল বানানো, আপলোড করা ও থিমের header.php তে প্রয়োজনীয় কোড সংযোজন করা।
  • ৪.বাংলায় পোস্ট লেখার সুবিধা দেয়ার জন্য banglakb প্লাগইন সেটআপ করা, বাংলায় মন্তব্য দেয়ার জন্য comments.php ফাইল ইডিট করা।
  • ৫. এডমিন প্যানেল বাংলা করার জন্য bn.mo ফাইল আপলোড করা। প্রয়োহনে bn.po ফাইলটি সম্পাদনা করা। কনফিগারেশন ফাইলে প্রয়েজনীয় কোড সম্পাদনা করা। অথবা,
  • এডমিন প্যানেলের ইংরেজী শব্দগুলো ধরে ধরে বাংলা করা
  • ৬. এডমিন প্যানেলের ফন্ট স্টাইল, সাইজ পরিবর্তনের জন্য সিএসএস ফাইল সম্পাদনা করা।
  • ৭. বিভিন্ন স্থানে wordpress শব্দটি মুছে দেয়া
  • ৮. বাংলা সাইটরে উপযুক্ত ব্যানার বানানো এবং তা image ফোল্ডারে রিপ্লেস করা।

style.css ফাইলটি সম্পাদনা

মনে করি আপনার সাইট yoursite.com এবং আপনার থিম classic তাহলে আপনার style.css ফাইলের পাথ হবে yoursite.com>wp-content>theme>classic>style.css
ফাইলটি সম্পাদনা করার আগে ব্যাকআপ নিয়ে নিন। সমস্যা হলে আগের ফাইলটি পূন:স্থাপন করে নিবেন।

১. ফন্ট স্টাইল

ফাইলের যেখানে
font-family: ‘Lucida Grande’, ‘Lucida Sans Unicode’, Verdana, sans-serif;
আছে সেখানে SolaimanLipi শব্দটি যুক্ত করে দিন। নিচের মতো করে দিন
font-family:SolaimanLipi,’Lucida Grande’, ‘Lucida Sans Unicode’, Verdana, sans-serif;

২. ফন্টসাইজ

বাংলা ফন্ট একটু বড় না হলে ভাল দেখায় না তাই সব জায়গায় ফন্ট সাইজ দুই করে বাড়িয়ে নিতে পারেন
font-size: 11px; এর জায়গায়
font-size: 13px; করে দিন

Stumble ThisFav This With TechnoratiAdd To Del.icio.usDigg ThisAdd To RedditAdd To FacebookAdd To Yahoo

আমি প্রোগ্রামটিকে ওয়ার্ডপ্রেসের Plugin হিসেবে তৈরি করেছি প্রোগামটি Qbasic এ লেখা ও সেটি গ্রেগরীয় পঞ্জিকার তারিখ কে বাংলা পঞ্জিকার তারিখে রূপান্তর করতে পারে

তেমন কোন কোডিং করতে হয়নি। শুধু Qbasic এর কোড কে PHP তে রূপান্তর করতে হয়েছে।

http://wordpress.org/extend/plugins/bangla-date/

Stumble ThisFav This With TechnoratiAdd To Del.icio.usDigg ThisAdd To RedditAdd To FacebookAdd To Yahoo

ভাল মানের প্লাগইন বানাতে পিএইচপি জানা প্রয়োজন তাহলে শুরু করা যাক…
নিচের কোডগুলো কপি করে firstplugin.php নামে একটি ফাইল করে সেভ করুন
http://www.tutorialbd.com
Description: Plugin for displaying Bangla meaning corresponding hadr English and technical words.
Author: Mahbub Alam
Version: 1.0
Author URI: http://www.tutorialbd.com
*/

?>

আপলোড করুন নিচের মতো ছবি মতো

মূলত: উপরের প্লাগইন দিয়ে কোন কাজ করা হয় নি। এখানে কোন কমান্ডও নেই।পরবর্তিতে ছোট একটি প্লাগইন বানানোর উপর টিউটরিয়াল নিয়ে আসতে পারি।

Stumble ThisFav This With TechnoratiAdd To Del.icio.usDigg ThisAdd To RedditAdd To FacebookAdd To Yahoo

১৭টি দরকারী ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগ-ইনস এর বর্ননা দিলাম । আশা করি কারো না কারো কাজে আসবে ।

১. Dofollow: ওয়ার্ডপ্রেসের কমেন্ট পার্টটি nofollow করা থাকে । আপনি চাইলে এই প্লাগইনটি দ্বারা সহজেই একে dofollow করতে পারবেন । শুধু এটি নামিয়ে ইনষ্টল করে নিন ব্যস কাজ শেষ ।ডাউনলোড

২. Comment Images: এই প্লাগইনটি দ্বারা আপনার ব্লগের কমেন্ট রাইটারদের তাদের কমেন্টে ইমেজ যোগ করার সুবিধা দিতে পারবেন । কমেন্ট ফর্মের নিচে একটি লিংক থাকবে তাতে ক্লিক করলে একটি উইন্ডো আসবে তাতে ইমেজ ইউ আর এলটি দিলেই তা কমেন্টে যুক্ত হয়ে যাবে ।ডাউনলোড

৩. Commentluv: এই প্লাগইনটি ব্লগের কমেন্টার বৃদ্ধিতে অনেক কার্যকারী । এই প্লাগইনটি দ্বারা ভিজিটর এর ব্লগের সর্বোশেষ পোষ্টটি তার কমেন্টের শেষে শো করতে পারবেন ।ডাউনলোড

৪. WP-Post ratings: এই প্লাগইনটি আপনার প্রত্যেক পোষ্টটের নিচে রেট করার জন্য পাচঁটি স্টার যুক্ত করবে ফলে ভিজিটররা সহজেই আপনার পোষ্টটিকে রেটিং দিতে পারবে ।ডাউনলোড

৫. Facebook Photos plugins: এই প্লাগইনটি দ্বারা আপনার পোষ্ট এডিটরে একটি আইকন যুক্ত হবে যার দ্বারা সহজেই আপনার ফেসবুক পিকচারকে পোষ্টে যুক্ত করতে পারবেন ।ডাউনলোড

০৬. WP BAN: এই প্লাগ ইনটি ভিজিটরদের ব্যান করতে ব্যবহৃত হয় । এর সাহায্য IP, IP Range, host name, user agent and referer url দ্বারা ব্যান করতে পারবেন ।

০৭. WP Comment Navi: কমেন্ট অনেক বেশী হয়ে গেলে দেখতে খারাপ লাগে আবার পেজ লোড হতেও সময় নেয় । এই প্লাগ ইনটি কমেন্টগুলোকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনে সাহায্য করে ।

০৮. Let It Snow: এই ক্রিসমাসে আপনার ব্লগে তুষারপাতের ইফেক্ট যোগ করবে । তুষারপাতের পরিমান , দিক সবই আপনি নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন ।

০৯.WP DB manager: এই প্লাগইনটি দ্বারা আপনার WP এর ডেটাবেস ব্যকআপ , রিস্টোর , রিমুভ ইত্যাদি করতে পারবেন ।

১০. WP User Online: এই প্লাগইনটি দ্বারা আপনার WP ব্লগে এখন কয়জন ভিজিটর আছে তার রিয়লটাইম ডাটা আপনার ব্লগে সো করবে ।

১১. All in One in SEO Pack এই প্লাগিন্স দক্ষ করে তুলে সেরা কিছু চর্চার জন্য যা ওয়ার্ডপ্রেস সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে প্রয়োজন। এই প্লাগিন্স ব্যবহার করে আপনি স্বয়ংক্রিয় ভাবে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য আপনার টাইটেল অপটিমাইজ করতে পারেন। এর সাথে আপনি ম্যাটা ট্যাগও জেনারেট করতে পারেন। এটি খুব সহজেই ইন্সটল করা যায়। আর আপনি ওয়ার্ডপ্রেসে নতুন হলেও এর ব্যবহার নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছুই নাই। ইন্সটল করে বসে থাকুন। কাজ হয়ে যাবে।

১২. নন-ইস্যু এবং রিস্টোর ইনসেন্স ব্লগিংয়ে Automatic Kismet আপনার এক অনন্য সহকারী, কমেন্ট এবং ট্রেকব্যাক স্প্যামের অসাধারণ হাতিয়ার । এজন্য আপনাকে বারবার স্প্যাম নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না। নতুন কোন কমেন্ট যখন আপনার সাইটে আসে এই প্লাগিন Akismet সার্ভিসে প্রেরণ করে এবং শত শত পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই হওয়ার পর আপনার সাইটে পাবলিস হয়।

১৩. W3 Total Cache আপনার ব্লগের ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা (User Experience) বৃদ্ধি করে সার্ভারের পারফরমেন্স বৃদ্ধির মাধ্যমে। পুরো সাইটের সব ধরনের ক্যাশিং (caching), আপনার সাইটের সকল রূপ (Looks), আপনার থিমের ডাউনলোডের সময় কমানো এবং ট্রান্সপারেন্ট কন্টেন্ট ডেলিভঅরি নেটওয়ার্ক (CDN) এর পরিপূর্ণতা প্রদান করে সাইট অপটিমাইজ করে। এই প্লাগিন্স এর সাহায্যে ৮০% পর্যন্ত ব্যান্ডউইথ মিনিমাইজ করা সম্ভব এবং HTML এর কমপ্রেশন, HTTP, CSS, Java Script এবং RSS Feeds এর লোডিং টাইম বাঁচাতে পারেন।

১৪. Yet Another Posts Plugin আপনার সাইটের একই রকমের পোস্ট গুলোর লিস্ট তৈরি করে একই রকম বিষয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। পোস্ট টাইটেল, কন্টেন্ট, ট্যাগ এবং ক্যাটাগরি ইত্যাদিতে একটি এডভান্স এবং বহুমুখী এ্যালগরিদম ব্যবহার করে এই লিস্ট জেনারেট করে যা কাস্টম্যাবল এ্যালগরিদম হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

১৫. Wapple Architect Mobile Plugin for Wordpress প্লাগিন্সের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগ মিনিটেই মোবিলাইজ করতে পারবেন। এটি প্রত্যেক সিঙ্গেল মোবাইল ডিভাইস ডিটেকটেড করে এবং আপনার ব্লগের সকল দিক ভিজিটিং হেন্ড সেটের জন্য যথাযথ ভাবে তৈরি করে।

১৬. Share This ওয়ার্ডপ্রেসের এমন একটি প্লাগিন্স যার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার পোস্ট অনেক সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইটে যুক্ত করতে পারেন অথবা ইমেলের মাধ্যমে লিঙ্ক ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি সাইটেও শেয়ার করতে পারেন। সাইটের ট্রাফিক আর জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য অনন্য এক প্লাগিন।

১৭. আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগিংয়ের জন্য Google XML Sitemaps প্লাগিন গুগল সাইট ম্যাপ তৈরি করে। এটি সকল ওয়ার্ডপ্রেস জেনারেটেড পেজও সাপোর্ট করে। সবসময় আপনি পোস্ট এডিট অথবা তৈরি করতে পারবেন সাইটম্যাপ আপডেট রেখেই এবং গুরুত্বপূর্ণ সার্চ ইঞ্জিন, প্রটোকল যেমন- Ask.com, Google, Msn, Yahoo ইত্যাদি সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইটম্যাপের সাপোর্ট দিবে আপডেট নটিফেকেশনের মাধ্যমে।

Stumble ThisFav This With TechnoratiAdd To Del.icio.usDigg ThisAdd To RedditAdd To FacebookAdd To Yahoo

গুগল বাজ এসেই অনেক হইচই ফেলে দিয়েছে wava এর ফ্লপ খাওয়ার পর গুগল মনে হয় নিজেও ভাবেনি যে গ্রাহকরা Buzz এত দ্রুত গ্রহন করবে যাইহোক , আপনি চাইলে সহজেই আপনার ব্লগে Buzz it বাটানযুক্ত করতে পারবেন

Blogger এর জন্য:

Blogger ব্যবহারকারীরা প্রথমে Blogger এ লগ ইন করে Layout থেকে Edit Html এ যান । এবার “Expand Widget Templates” এর পাশে টিক চিহ্ন দিন । নতুন পেজ আসলে তাতে খুজে বের করে এর ঠিক উপরে নিচের কোডটি বসিয়ে দিন

http://www.google.com/reader/link?url=" + data:post.url + "&title=" + data:post.title' target='_blank' title='Buzz this'>http://lh6.ggpht.com/_aQ9isAh6Od0/S3Qrot-P2VI/AAAAAAAACbE/2DbNV1dp9tw/google-buzz.png'/>

WordPress Self hosted এর জন্য:

WP এর মজা হচ্ছে এতে সব কিছুতেই কষ্ট কম লাগে । WordPress এর জন্য নামিয়ে নিন এই প্লাগইনটি । তবে আমার হয় কিছু থীমে এটা সমস্যা করতে পারে । প্লাগইনটির ব্যাপারে আরো জানতে চাইলে এর নির্মাতার ব্লগটি দেখতে পারেন । আর WordPress.com ব্যবহারকারীদের কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে ।

এই পদ্ধতিগুলোতে Google reader এর মাধ্যমে পোষ্ট হচ্ছে তাই Buzz এ যাদের Reader বন্ধ করা তাদের ক্ষেত্রে এগুলো কাজ করার কথা না ।

Stumble ThisFav This With TechnoratiAdd To Del.icio.usDigg ThisAdd To RedditAdd To FacebookAdd To Yahoo

ওয়ার্ডপ্রেস মানেই সব সম্ভবের টুল । এবার সহজেই আপনার ব্লগে যুক্ত করতে পারবেন সেই সুবিধা । ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন Riffly দ্বারা সহজেই এই কাজটি করতে পারবেন । এর জন্য এক টাকাও খরচ করতে হবে না । ব্যান্ডউডথ বা হোস্টিং এর চিন্তা ? তাও তাড়িয়ে দিন । কারন সব অডিও ও ভিডিও ফাইল জমা হবে Rifflyর কাছে । অর্থাৎ এর জন্য আপনার বাড়তি কোন খরচই হবে না । সাধারন কমেন্টের মতই আপনি না চাইলে এগুলো আপনার মডারেশন ছাড়া প্রকাশিতও হবে না । আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী সাধারনভাবেই মুছে ফেলতে পারবেন যেকোনটি ।

screenshot2 ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগেযুক্ত করুন অডিও ভিডিও কমেন্টিং অপশন | Techtunes

কাদের কাজে লাগবে ?

যেকোন ব্লগেই নিশ্চিত শোভা বাড়াবে এই প্লাগইনটি । তাছাড়া যারা নিয়মীত ভিডিও ব্লগিং করেন , তাদের জন্য খুবই কাজে দিবে এটি । তাছাড়া যারা টিউটোরিয়াল সাইট চালাচ্ছেন তাদেরও সাইটে ভিজিটর ইন্টিগেশনে কাজে লাগবে এটি । এটি চালানোর জন্য ভিজিটরদের অতিরিক্ত কোন কিছু ইনস্টল বা ডাউনলোডও করতে হবে না ।

আরো কিছু তথ্য…

এর ইন্সটলেশন পদ্ধতি অন্য যেকোন প্লগইন ইন্সটলেশনের মতই । /wp-content/plugins ডাইরেক্টরীতে আপলোড করে , এডমিন মেনু থেকে অ্যাকটিভ করে নিন । সার্ভার খরচ উঠানোর জন্য এটি কমেন্ট বিজ্ঞাপনযুক্ত করবে । তা না চাইলে কিছু পয়সা খরচ করে আপগ্রেড করতে পারবেন বিজ্ঞাপনবিহীন ভার্সনে ।

ডাউনলোড ।

Stumble ThisFav This With TechnoratiAdd To Del.icio.usDigg ThisAdd To RedditAdd To FacebookAdd To Yahoo

পছন্দের ওয়ার্ডপ্রেস থীম পাওয়া একটি সমস্যাই বটে। আর সেই সমস্যা সমাধানে কিছুটা হলেও সাহায্য করার জন্য এই পোস্ট। ওয়ার্ডপ্রেস থীম নিয়ে এর আগেও লিখেছিলাম। তবে এবার আর থীম নয়, থীম ডাউনলোড সাইট নিয়ে লিখছি। সাইটগুলো প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন দারুন সব থীম দ্বারা আপডেট করা হয়। আর এখান থেকে সহজেই আপনি খুঁজে নিতে পারেন আপনার পছন্দের থীম।


Wordpress.org – Themes

Free WP Themes

Fresheezy

Free Wordpress Themes

Templates Browser

Wordpress Themes Base

Woo Themes

Blog Oh Blog

Stumble ThisFav This With TechnoratiAdd To Del.icio.usDigg ThisAdd To RedditAdd To FacebookAdd To Yahoo

বেশ কিছুদিন ধরেই ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগগুলো হ্যাকারদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত হয়েছে । কারণ পৃথিবীর নামজাদা বেশীর ভাগ ব্লগ এখন ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে । ওয়ার্ডপ্রেস লগইন মেনুতে CAPTCHA ব্যবস্থা না থাকায় কোন স্কিপ্ট দিয়ে বা ম্যানুয়ালী অনেকবার চেষ্টা করলে ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগের পাসওর্য়াড বের করা সম্ভব । এর জন্য সবচেয়ে সহজ বুদ্ধি হচ্ছে Administrator একাউন্ট Admin মুছে অন্য নামে ব্যবহার করা । তবুও 100% নিরাপদ থাকছেন না । তাই ব্যবহার করতে পারেন ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন Login LockDown ।

Login LockDown খুবই কার্যকারী একটি ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন । এটি সব সময় আপনার লগইন ব্যবস্থার উপর নজর রাখবে এবং কোন আইপি থেকে বারবার ব্যর্থ লগইনের চেষ্টা করা হলে প্লাগইনটি সেই আইপি রেন্জের সব আইপি ব্লক করে দিবে । ফলে আর লগইনের চেষ্টা করা যাবে না । এর ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের থেকে অনেক ভাল হবে ।

ডাউনলোড

Stumble ThisFav This With TechnoratiAdd To Del.icio.usDigg ThisAdd To RedditAdd To FacebookAdd To Yahoo

ওয়ার্ডপ্রেস MU তে BuddyPress প্লাগইন দিয়ে সামাজিক যোগাযোগের সাইট বানানো যায় , কিন্তু এবার আর ওয়ার্ডপ্রেস MU লাগবে না ! ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে হবে আপনার কাজ ! Mingle প্লাগইনটি দিয়েই আপনার ওয়ার্ডপ্রেস হয়ে যাবে সামাজিক যোগাযোগের সাইট ।
পদ্ধতি:

১. প্রথমে কোথায় সাইটটি চালাবেন তা ঠিক করে নিন । চাইলে পুরোনো WP ইন্সটলেশনেও চালাতে পারেন , তা না হলে নতুন করে WP ইনস্টলেশন করে নিন ।

২. এবার Mingle প্লাগইনটি ডাউনলোড করে ওয়ার্ডপ্রেসের wp-content/plugins ডাইরেক্টরীতে এক্সট্রাক্ট করুন । ও admin প্যানেলের প্লাগইন অপশন থেকে এটিকে একটিভ করুন ।
৩. Mingle এ মূল সেটিংসের পূর্বে কিছু পৃষ্টা বানিয়ে নিতে হবে । পৃষ্টা গুলো হল : Profile , Profile edit , Activity , Directory login , Signup , Friends, Friend Request. । নাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে কি কাজের জন্য এগুলো তৈরী । এই পেজগুলোতে কমেন্টিং সুবিধা বন্ধ করে দিন ।

৪. এবার আপনার ড্যাসবোর্ডের Settings বাটানের নিচে Mingle বাটান দেখতে পাবেন । এটি ক্লিক করেই পৌছে যাবেন Mingle সেটিংস পেজে ।

৫. এবার Mingle Pages লেখার নিচের ড্রপ ডাউন মেনুগুলো দিয়ে তাদের জন্য তৈরী করা পৃষ্টা গুলো সেট করে দিন ।
৬. Mingle এ আরো কিছু সেটিংস করতে পারবেন যেমন: প্রোফাইলের URL কেমন হবে , কোন কোন তথ্য পাবলিক থাকবে , ডিফল্ট হিসেবে কে সবার ফ্রেন্ড থাকবে ইত্যাদি । এই সবগুলোই Mingle সেটিংস পেজ থেকে পরিবর্তন করতে পারবেন ।
৭. এবার Admin প্যানেলের Appearance থেকে Widget এ যান । সেখানে অতিরিক্ত দুটি Widget পাবেন । সাইডবারে সেগুলো সংযুক্ত করে দিন ।

মূল কাজ শেষ এবার পছন্দানুযায়ী থিম বেছে শুরু করে দিন আপনার নিজের ফেসবুক ! কিছু কোডিং চেন্জ করতে পারলে এটি এক কথায় আসাধারন কাজ করবে । তাছাড়া Mingle এর টি মাত্র প্রথম এডিশন , কয়েকদিন গেলে যে আরো অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে তা না বললেও চলে ।

ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে যে কত হাজার রকমের জিনিস করা যায় তার ইয়াত্তা নাই । ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে অনেক টিউন করেছি , তার চেয়ে হাজারগুন বেশী কাজ করেছি ওয়ার্ডপ্রেস এর উপর । এর মত চমৎকার জিনিস আর নাই । এই টিউনটা অবশ্য একমাস আগে করার কথা ছিল কিন্তু কেন যেন করা হয় নাই ।

ডাউনলোড করুন WP Minlge প্লাগইন ।